ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না
মার্কিন নির্বাচনী জরিপ

সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে কমলা

  • আপলোড সময় : ৩১-১০-২০২৪ ০৬:৪২:০১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-১০-২০২৪ ০৬:৪২:০১ অপরাহ্ন
সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে কমলা
নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ভোটের ওপর এবং হোয়াইট হাউসের দৌড়ে প্রচারণার কী প্রভাব পড়বে-সেদিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন গোটা বিশ্ব। জুলাইয়ের শেষ দিকে নির্বাচনী দৌড়ে প্রবেশ করার পর থেকে জাতীয় এক জরিপের গড়ে ট্রাম্পের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। খবর বিবিসির। 
প্রচারণার প্রথম কয়েক সপ্তাহে ব্যাপক সমর্থন দেখা যায় হ্যারিসের পক্ষে, যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে প্রায় চার শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে (ট্রাম্পের তুলনায়) যান তিনি। গত ১০ সেপ্টেম্বর দুই প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র বিতর্কের পরেও, সেপ্টেম্বরজুড়ে এই সংখ্যা (জরিপের ফল) তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান কমে এসেছে। যার ফলে মিলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। একজন প্রার্থী সারা দেশে কতটা জনপ্রিয় তা বোঝার জন্য এ ধরনের জরিপের ফল গুরুত্বপূর্ণ হলেও, নির্বাচনের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এটি সঠিক কোনো উপায় নয়। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে, যার অধীনে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে তার জনসংখ্যার আকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কয়েকটি ভোট দেয়া হয়। মোট ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন, তিনিই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। অর্থাৎ, সাধারণ মানুষের ভোট বেশি পেয়েও জয়ের নিশ্চয়তা নেই কোনো প্রার্থীর। যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে, যেখানকার বেশিরভাগ ভোটার প্রায় সবসময় একই দলকে ভোট দেয়। যদিও এমন কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যেখানে উভয় প্রার্থীরই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এগুলোই ব্যাটলগ্রাউন্ড বা সুইং স্টেটস হিসেবে পরিচিত, যেখানে নির্ধারিত হবে নির্বাচনে জয়-পরাজয়। এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সুইং স্টেট খ্যাত ৭টি অঙ্গরাজ্যকে মূল কেন্দ্র ভাবা হচ্ছে, যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলোতে কেউ এগিয়ে বা পিছিয়েও নেই। নির্বাচনী প্রচারণায় নামার পর কমলা হ্যারিস কিছু রাজ্যে পরিবর্তন (জরিপের ফলে) আনতে পেরেছেন। কিন্তু জাতীয় জরিপগুলোতে সব রাজ্যের পুরোপুরি চিত্র প্রতিফলিত হয় না। অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাদা এবং উত্তর ক্যারোলিনায় আগস্টের শুরু থেকে কয়েকবার জরিপের ফলে পরিবর্তন এসেছে। তবে এই মুহূর্তে সবগুলোতেই সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। অন্য তিন অঙ্গরাজ্য-মিশিগান, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনে আগস্টের শুরু থেকে এগিয়ে ছিলেন কমলা হ্যারিস (কখনও কখনও দুই বা তিন পয়েন্টে)। তবে সম্প্রতি সেই ব্যবধানের কমে এসেছে এবং পেনসিলভানিয়াতে এখন খুব কম ব্যবধানে এগিয়ে ট্রাম্প। এই তিন অঙ্গরাজ্যই ডেমোক্রেটিক পার্টির শক্ত ঘাঁটি ছিল। ২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সেই চিত্র বদলে গেলেও, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিন জায়গাতেই জয় পান বাইডেন। আর কমলা হ্যারিস যদি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন, তাহলে নির্বাচনে জয়ের পথে তিনিই এগিয়ে থাকবেন বলে মত অনেক বিশ্লেষকের।
যদিও বাইডেন তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেনসিলভানিয়ায় সাড়ে চার শতাংশ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিলেন। আর মার্কিন নির্বাচনে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য। কেননা সাতটি সুইং স্টেটের মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যে কারণে এই রাজ্যে জয় পেলে, কোনো প্রার্থীর জন্য ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজে জয় পাওয়া তুলনামূলক সহজ হয়। এদিকে গ্রাফিক্সে যে পরিসংখ্যানগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভোট বিশ্লেষণ ওয়েবসাইট ৫৩৮-এর তৈরি গড়। এটি মূলত আমেরিকান নিউজ নেটওয়ার্ক এবিসি নিউজের অংশ। এগুলো তৈরি করতে, ৫৩৮ বিভিন্ন জরিপ সংস্থার দ্বারা জাতীয়ভাবে এবং ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যগুলোতে পরিচালিত পৃথক জরিপ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে, ৫৩৮ শুধুমাত্র এমন কোম্পানির জরিপ অন্তর্ভুক্ত করে যেগুলো কতজন ভোটার জরিপে অংশ নিয়েছে, কখন জরিপটি করা হয়েছে কিংবা কীভাবে এই জরিপ সম্পন্ন হয়েছে-এ ধরনের নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করে। এই মুহূর্তে জরিপগুলোর ফল বলছে, সব সুইং স্টেটে একে অপরের থেকে খুব কাছাকাছি রয়েছেন কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর পয়েন্টের ব্যবধান যখন এত কম হয়, তখন নির্বাচনে কে জিতবেন সে বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করাও খুব কঠিন। ২০১৬ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে জরিপে ট্রাম্পের সমর্থনকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল। যদিও জরিপ কোম্পানিগুলো এবার এই ত্রুটি দূর করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া আগামী ৫ নভেম্বর ভোটাররা কাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করবেন, তা বুঝতে জরিপকারী সংস্থাগুলোকে আরও বেশ কিছু বিষয়কে বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন অনেকে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স